Thursday, 17 November 2016

স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যাহা করণীয়

স্কলারশিপ অনেকের কাছেই সোনার হরিণ এর মত। যদিও কিছু ধাপ এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকলেই  স্কলারশিপ পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তাই সবাই কে মন যোগ সহকারে পড়ার জন্য আহবান করছি।
Minimum Requirements to get scholarship
1. Master of Science with CGPA minimum 3.50 out 4.00 ( Sometimes 3.0 CGPA is acceptable)
2. Bachelor of Science in Agriculture/Fisheries/Veterinary/Food/Engineering/BBA/Arts with minimum CGPA 3.5 out of 4:00( Sometimes 3.0 CGPA is acceptable)
3. Published paper in peer reviewed journal with impact factor or without impact factor. Paper should be published from Honours or MS thesis.
4. IELTS score 6.50 (Individual band score not less than 6.00).
If you have above criteria, then you can apply for any kind of scholarship for MS/PhD study.
Following steps should be followed-
1. Select your preferred country for higher study.
2. Search google writing university of UK (For Example).
3. Click the website of respective university.12. Find interested faculty/department/subject.
4. Find personal profile/CV of professor/faculty member/ staff.
5. Check your interested research area/field from the profile/cv of professor/faculty member. Collect e-mail of Professor/faculty member/staff and
6. Write e-mail to them mentioning your introduction and interest. Please do not forget to send your CV with attached file.


স্কলারশিপ পেতে কিভাবে প্রফেসর কে লিখতে হবে:
এখন আলোচনা করব যে কিভাবে প্রফেসর কে ই-মেইল করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খুব খেয়াল করতে হবে। তা না হলে প্রফেসর ই-মেইল এর উত্তর দিবে না। এরকম অনেকেই বলে থাকে যে , অনেক প্রফেসর কে লিখে কিন্তু প্রোফেসর উত্তর দেয় না। সেই জন্য , প্রথমে প্রফেসর এর বায়োডাটা ভাল করে দেখতে হবে বিশেষ করে তার গবেষণার বিষয় বস্তু। যদি দেখা যায় প্রফেসর Plant Disease নিয়ে কাজ করে, অথবা, Cold, salt, drought stress নিয়ে গবেষণা করে তাহলে প্রফেসর কে specific area উল্লেখ করে লিখতে হবে। এখন ই-মেইল এর ভাষা কেমন হবে? বা কি কি লিখতে হবে? সেই ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ভাবে প্রফেসর কে approach করার চেষ্টা করে থাকে। এখানে খুব সাধারন ভাষায় একটা উদাহরণ সরূপ দেওয়া হল।
To: bmb@yahoo.com
Subject: Humble request for MS/PhD position in your lab
Dear Professo X
I’m serving as Lecturer in the Department of Biochemistry and Molecular Biology of Hajee Mohammad Danesh Science and Technology University, Dinajpur, Bangladesh . I have completed Bachelor of Science in Agriculture (Hons) in 2007 and Master of Science in Biochemistry in 2009 from Bangladesh Agricultural University, Bangladesh. After completing mygraduation, I have been appointed as a Lecturer in the Department of Biochemistry and Molecular Biology at Hajee Mohammad Danesh Science and Technology University , Bangladesh since 16 May, 2010 till to date. Now, I would like to do PhD under your supervision entitled “Molecular Mechanisms of Plant Disease Suppression by Plant Growth Promoting Mycorrhiza”. Could you please give me such type of opportunity to do PhD in your well-developed lab? If you have any space for MS/PhD, I would like to request you to provide me necessary information in this regard. I sent u my complete CV as attached file for your kind consideration.
I am sorry for any kind of inconvenience.
With best regards
Y
HSTU
Bangladesh
এই ভাবে প্রতিদিন অন্ততঃ ৫ জন প্রফেসর কে লিখতে হবে…… এর মধ্যে থেকে কিছু প্রফেসর উত্তর দিবে।
যদি প্রফেসর ই-মেইল এর উত্তর দেয় তাহলে কি করতে হবে সে বিষয় নিয়ে এখন বলব। অনেক প্রফেসর আছে উত্তর দিবে, কিন্তু বলবে যে তার ফান্ড নাই বা ল্যাব এ স্পেস নাই। সেই ক্ষেত্রে হতাশ হওয়া যাবে না। তবে, প্রফেসরকে খুব পোলাইটলি ধন্যবাদ দিয়ে উত্তর দিতে হবে। আবার কিছু প্রফেসর আছে, তারা পজিটিভলি উত্তর দিবে এবং বলবে যে এক টা রিসার্চ প্রপোজাল পাঠাতে। তখন এমন একটা রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে হবে যেন, প্রফেসর এর রিসার্চ এর সাথে মিলে যায়। এই ক্ষেত্রে পরের ই-মেইল এ ফান্ডিং বা application process সম্পর্কে প্রফেসর হয়তো জানাবে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, প্রফেসর যদি ম্যানেজ হয়, তাহলে ৫০% স্কলারশিপ পাওয়ার কাজ হয়ে গেল। তাই প্রফেসর যদি আপনার প্রতি আগ্রহ দেখায়, তাহলে পরের ই-মেইল গুলোতে আপনি সব কিছু জানতে পারবেন।
যাদের জিপিএ ৩.৫ এর কম, তাদেরকেও উক্ত নিয়ম গুলো ফলো করে কাজ করতে হবে। এই জন্য তাদের কে IELTS পেতে হবে ৬.৫ বা তার চাইতে বেশি। যারা শুধু মাত্র Honours করেই বিদেশে MS করতে চায়, তাদের জন্য Full Scholarship পাওয়া একটু কষ্টকর হবে। হয়তো ৫০% scholarship পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেই জন্য নিজের খরচে পড়তে হবে। এতে খুব কষ্টকরহবে। তাই, সবচেয়ে ভাল হয়, বাংলাদেশে মাস্টার্স করে, তারপর বিদেশে যাওয়া। কারন হল, scholarship পেতে হলে scientific paper/research paper/publication থাকতে হবে। যাহা মাস্টার্স এর থেসিস থেকে paper publish করা যাবে। কিন্তু যারা Undergraduate এ thesis/ project work করে, তারা সেখান থেকে paper publish করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্ট দের জন্য খুব সুবিধা। তারা honours করেই বিদেশে মাস্টার্স করতে পারে।
——————————————-
Md. Abu Sayed
B.Sc.Ag(Hons) and MS, BAU, Mymensingh
Visiting fellow, Nottingham University, UK
PhD fellow (Monbusho), Iwate University, Japan
&
Assistant Professor
Department of Biochemistry and Molecular Biology
HSTU, Dinajpur, Bangladesh

 E-mail: sayed_bmb@yahoo.com

ICSP Scholarships at University of Oregon USA

ICSP Scholarships at University of Oregon USA

University of Oregon
Bachelors Degree
Deadline: 15 Jan 2017 (annual)
Study in: USA
Course starts 2017

Brief description:
International students who demonstrate financial need and exceptional merit may apply for the International Cultural Service Program (ICSP).  The ICSP scholarship has a cultural service component which requires students to give presentations about their home country to children, community organizations, and UO students, faculty and staff
Host Institution(s):
Oregon University, USA
Field(s) of study:
Eligible programmes offered at the University
Number of Scholarships:
Not specified.
Target group:
International students who demonstrate financial need and exceptional merit 
Scholarship value/inclusions:
Tuition waiver worth $7,500 – $30,000.
Eligibility:
  1. Applicants must be admissible or fully admitted to the University of Oregon. New students must apply for admission to the UO for 2017-18 by 15 January 2017. 
  2. Applicants cannot be U.S. citizens, U.S. permanent residents, or eligible to receive U.S. federal financial assistance.
  3. Applicants must demonstrate financial need and meet the minimum 3.0 cumulative GPA requirement
ICSP students agree to complete 80 hours per year of cultural service as required by the program.
Application instructions:
To apply, you must complete the application form and submit supporting documents by 15 January  2017.
It is important to visit the official website (link found below) to access the application form and for detailed information on how to apply for this scholarship.
Website:
Official Scholarship Website: https://isss.uoregon.edu/icsp

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিচ্ছে খাজানাহ

ঢাকার ইউনূস সেন্টার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় মালয়েশিয়ার নির্বাচিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিসহ এশীয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য বৃত্তির সুযোগ করে দিচ্ছে দেশটির ইয়ায়াসান খাজানাহ ফাউন্ডেশন। ইউনূস সেন্টারের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ সংস্থা খাজানাহ ন্যাশনাল বারহাদ এশিয়ার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ার নির্বাচিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে।
স্কলারশিপের আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাবেন।
পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রির জন্য যোগ্যতাঃ
১. স্নাতকে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫
২. টোফেল ৫৫০ (কাগজ ভিত্তিক), ৭৬ (আইবিটি) বা ২১৩ (কম্পিউটার) বা আইইএলটিএস ব্যান্ড / ৫.৫-৬.০ পয়েন্ট
৩. মাস্টার প্রোগ্রামের জন্য তালিকাভুক্তি তারিখে বয়স ৪০ বছরের কম হতে হবে।
৪. আবেদনকারীকে অতিরিক্ত পাঠক্রম সংক্রান্ত, সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
যেসব বিষয়ে আবেদন করা যাবে
১. ব্যবসায় শিক্ষা
২. ইঞ্জিনিয়ারিং
৩. বিজ্ঞান
যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে
১. আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়
২. ইউনিভার্সিটি মালায়া
৩. ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া
৪. ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া
৫. ইউনিভার্সিটি সাইন্স মালয়েশিয়া
৬. ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া
৭. ইউনিভার্সিটি টেনাগা মালয়েশিয়া
৮. মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ইউনূস সেন্টার থেকে পছন্দের বিষয়ে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, ২০১৪।

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ, মালয়েশিয়া (100% টিউশন ফ্রি প্লাস ভাতা

The Monash University Malaysia Higher Degrees by Research Scholarships are tenable at Monash University Malaysia only, and are not transferable to Monash University Australia. Scholarship recipients will need to maintain satisfactory academic progress. Failure to do so May result in the Scholarship being terminated. Successful candidates must not be in receipt of Any form of sponsorship from other sources. Malaysian citizens or permanent residents must contribute 10 hours/week in academic teaching and/or research Training. International Students must participate in Peer Assisted Study Sessions (PASS)

মালময়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষাঃ

জেনে নিন মালয়েশিয়াতে বিশ্বমানের পড়াশোনা সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য

মালময়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষাঃ



জেনে নিন মালয়েশিয়াতে বিশ্বমানের পড়াশোনা সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য যা আপনার জন্য সহায়ক হবে। বর্তমানে মালয়েশিয়া UNESCO এর জরীপে বিশ্বের ৯ম তম ‘Preferable Destination For Higher Studies’ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছে। এদেশে বর্তমানে লেখাপড়া করছে ১৩২ দেশের প্রায় ১,৫০,০০০ বিদেশী ছাত্রছাত্রী। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রে মালয়েশিয়া পৃথিবীর বুকে একটি মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে পড়াশোনা, থাকা খাওয়ার খরচ খুব কম। মালয়েশিয়াতে জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত। আপনি মালয়েশিয়ায় স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সহজেই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। 
ধৈর্য সহকারে নিচের পোস্টটি পড়ুন, তাহলে মালয়েশিয়া এবং মালয়েশিয়ার লেখাপড়া সম্পর্কে আপনি একটি বিস্তারিত ধারনা পাবেন।

★ University / College:
মালয়েশিয়ায় রয়েছে অনেক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় / কলেজ পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত। অতএব মালয়েশিয়া থেকে লেখাপড়া করে পৃথিবীর যেকোন দেশে চাকুরী অথবা পরবর্তী পর্যায়ের লেখাপড়ার জন্য চলে যেতে পারবেন। নিচে কিছু University / College এর নাম উল্লেখ করা হলঃ
✎ INTERNATIONAL ISLAMIC UNIVERSITY MALAYSIA (IIUM)
✎ University Putra Malaysia (UPM) 
✎ University Kebangsaan Malaysia (UKM)
✎ University Malaya (UM)
✎ University Of Technology Malaysia (UTM)
✎ University Tenaga Nasional (Uniten) 
✎ UNIVERSITY OF KUALA LUMPUR (UNIKL)
✎ Monash University Malaysia
✎ Curtin University Sarawak
✎ University Of Nottingham malaysia
✎ University Of Southampton Malaysia 
✎ UCSI
✎ Asia Pacific University Of Technology & Innovation
✎ Multimedia University
✎ SEGi University
✎ Limkokwing University 
✎ Infrastructure University
✎ Taylor’s University
✎ UNITAR INTERNATIONAL UNIVERSITY
✎ MAHSA UNIVERSITY
✎ BINARY UNIVERSITY 
✎ AIMST UNIVERSITY
✎ KDU UNIVERSITY COLLEGE 
✎ KBU INTERNATIONAL COLLEGE
✎ CITY UNIVERSITY COLLEGE
✎ INNOVATIVE INTERNATIONAL COLLEGE
✎ FTMS COLLEGE KUALA LUMPUR
✎ IIMAT INTERNATIONAL INSTITUTE OF MANAGEMENT TECHNOLOGY
✎ BINARY COLLEGE এবং আরো অনেক নামকরা ইউনিভার্সিটি।

★Tuition Fee:
মালয়েশিয়ায় লেখাপড়া করার সবথেকে সুবিধা হচ্ছে, এখানে টিউশন ফি অন্যান্য উন্নত দেশের ইউনিভার্সিটি / কলেজ থেকে অনেক কম। ইউরোপ / অস্ট্রেলিয়া / কানাডা তে এক/ দুই বছরে টিউশন ফি দিয়ে মালয়েশিয়াতে স্বম্পুর্ন কোর্স শেষ করা যাবে। কিন্তু সার্টিফিকেট এবং লেখাপড়ার মান কোন অংশেই ঐসব ইউনিভার্সিটি থেকে কম হবে না। 
★Admission & Visa System:
মালয়েশিয়ার এ্যডমিশন এবং ভিসা সিস্টেম অন্যান্য দেশের এ্যডমিশন এবং ভিসা সিস্টেম থেকে অনেক বেশী সহজ। ★EMGS ( Education Malaysia Global Services) এর নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে অনেক দ্রুত ভিসা প্রসেস করা স্বম্ভব। কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার চলে আসলে পরবর্তীতে ভিসা হতে তেমন কোন বাঁধা থাকে না। 
★Payment System:
মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং এ আরো একটি সুবিধা হচ্ছে Student Visa Approved হওয়ার পরে টিউশন ফি কেলজ / ইউনিভার্সিটিকে দিতে হয়। এর কারনে মালয়েশিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেস করা খুবই নিরাপদ। 
★Entry Qualification:
মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করার জন্য নূন্যতম এস এস সি / O level / দাখিল পাশ হলেই চলবে। এস এস সি / O level / দাখিল পাশ হলে ডিপ্লোমা লেভেল , এস এস সি বা সমমান এবং এইচ এস সি পাশ হলে ডিপ্লোমা/ ব্যচেলর উভয় প্রোগ্রামেই যেতে পারবে। ব্যচেলর পাশ করেও মালয়েশিয়াতে ডিপ্লোমা অথবা পূনরায় ব্যচেলরে যাওয়া যায়। কারন মালয়েশিয়াতে স্টাডি গ্যাপ গ্রহনযোগ্য।
★IELTS / TOELF??
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে অল্পকিছু বিষয়ে মাস্টার্স লেভেলে যেতে IELTS এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফান্ডেশন, ডিপ্লোমা / ব্যচেলর লেভেলে IELTS বাধ্যতামূলক নয়। তবে IELTS থাকলে অবশ্যই ছাত্রছাত্রী অনেক বেশী সূযোগ সুবিধা পাবে।
★Bank Sponsor / Statement:
মালয়েশিয়াতে ভর্তি এবং ভিসা প্রোসেস করতে কোন রকম Bank Sponsor/ Statement লাগবে না। 
Levels & Subjects:
মালয়েশিয়াতে নিন্ম প্রদত্য লেভেল গুলোতে স্টুডেন্টরা লেখাপড়ার জন্য যেতে পারবেনঃ
 Foundation / Pre University Program 
 Diploma
 Bachelor 
 Masters
 Ph.D 



এছাড়া মালয়েশিয়াতে স্টুডেন্টরা বর্তমান যুগোপযোগী অনেক সাবজেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন। যেমনঃ
❂ Business (Administration, Management, Accounting, Finance, HRM, Marketing, Economics) CIMA, CAT ----ইত্যাদি
❂ Engineering (Electrical, Electronics, Mechanical, Civil, Aeronautical, Marine, Architecture) ----ইত্যাদি
❂ Computer Science, IT, Tele Comm, Network, MIS, Software, Game Technology ----ইত্যাদি
❂ Hospitality (Hotel, Travel, Tourism, Culinary, Chef) ----ইত্যাদি
❂ Medical, Physiotherapy, Nursing , Public health, Dentisty----ইত্যাদি
❂ LAW, Mass Communication, Environmental Science, English Language, Sociology, IR----ইত্যাদি 
❂ Mathematics, Physics, Chemistry, Biology----ইত্যাদি
❂ Agriculture, Horticulture, Veterinary এছাড়াও আরো শতাধিক সাবজেক্ট।
★Food Culture Of Malaysia: 
মালয়েশিয়ার খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাংলাদেশের মত। এখানে খাওার খরচ খুবই তুলনামূলকভাবে খুবই কম। যেহেতু মালয়েশিয়াতে পৃথিবীর ৫০টির বেশী দেশের মানুষের বসবাস সেহেতু মালয়েশিয়াতে পৃথিবীর অনেক দেশের খাদ্যভ্যাসের সাথেও পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। 
★Life Style & Living Cost:
মালয়েশিয়ার জীবন যাত্রার মান খুবই উন্নত। এখানে একজন ছাত্র/ছাত্রী খুবই মানসম্মত জায়গায় খুবই কম খরচে থাকতে পারবেন। স্বভাবিক ভাবে মালয়েশিয়া খুবই পরিষ্কার একটি দেশ। এখানে যাতায়ত ব্যবস্থা খুবই উন্নত। ৫/৬ ধরনের মেট্রো ট্রেন এর ব্যবস্থা রয়েছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে।

মালয়েশিয়া বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৩.৫ ঘন্টার প্লেন ভ্রমনেই চলে যাওয়া যায় মালয়েশিয়াতে। মালয়েশিয়ার প্লেনের টিকিটের দাম খুবই কম। যেহেতু মালয়েশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা মাল্টিপল এন্ট্রী ভিসা সেহেতু ইচ্ছা হলেই বাংলাদেশে খুব সহজেই চলে আসা যায়। এছাড়া এদের লেখাপড়ার মান খুবই উন্নত। তাই আর দেরী না করে পরবর্তী সেশনে মালয়েশিয়া ভর্তি ও ভিসার জন্য আজই যোগাযোগ করুন।
arahman1383@gmail.com
www.gweducation.blogspot.com

01712257760

www.facebook.com/gwec3

Wednesday, 16 November 2016

বিদেশে স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

গত নয় মাস ধরে অন্তত শতাধিক বার্তায় অনুরোধ ‘ভাই স্কলারশিপ’ কিভাবে পাওয়া যায়। কিভাবে মটিভেশন করতে হয়, কি কি যোগ্যতা লাগে….। প্রতিদিন এই ধরনের মেসেজ আমাকে গিলতে হচ্ছে। সময় সুযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে উত্তর দিতে পারি আবার কাউকে দিতে পারি না।

আজ ছুটির দিনে এই সব প্রশ্নগুলোর হাত থেকে মুক্তির জন্য এই লেখাটি লিখছি। যদিও আমি এই বিষয়ে কেবলমাত্র এবিসি জ্ঞান সম্পন্ন তবুও যারা দেশের বাইরে শিক্ষা গ্রহণ করতে চান, এই লেখাটি কেবল তাদের জন্য। আশা করি আজকের পর থেকে যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের তথ্যের পিপাসাটুকু মিটবে।
প্রথমে আসা যাক আমার আপত্তিকর একটি শব্দ ‘উচ্চ শিক্ষা’ নিয়ে। আমি এই শব্দটির প্রতি আমার অনাস্থা প্রকাশ করছি, একই সাথে এই শব্দটি আমি এই লেখায় লিখতে রাজি নয়। কারণ, উচ্চশিক্ষা’ বলে কোন শব্দ আমি আমার অভিধানে সংযুক্ত করতে চাই না। শিক্ষা’ কেবলই শিক্ষা। এখানে উচ্চ কিংবা নিম্ন শিক্ষা বলা বেমানান। আপনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বিদেশে গিয়ে কিংবা দেশে থেকেই পিএইচডি/এমএস করা এটাও গুরুত্বপূর্ণ। বরং প্রাথমিক শিক্ষার চেয়ে এই বৃদ্ধ পর্যায়ের শিক্ষায় গুরুত্ব বিবেচনায় নিম্নবর্গীয়।
আপনি বাইরে যে শিক্ষা পাচ্ছেন:
যাই হোক এবার আসল কথায় আসা যাক। বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে আসে তাদের আশি শতাংশই পিএইচডি প্রোগামে কিংবা এমএস প্রোগামে। তবে এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদেরই কেবল জয়জয়কার। বর্তমানে কিছু কিছু আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগামেও শিক্ষার্থীরা আসছে।
লক্ষ্য:
এই শব্দটির গুরুত্ব আমার কাছে সবচেয়ে বেশি কারণ লক্ষ্য ছাড়া কোন গন্তব্যই মজবুত হয় না কিংবা হতে পারে না। তাই যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী কেবল লক্ষ্যভেদীরাই তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু আদায় করতে পারে। আমাদের গোড়া পত্তনের শিক্ষায় যে প্রলেপ থাকে তা কেবল বৃষ্টিস্নাত অবস্থায় এসিডরেইনের হলদে ভাবটায় কেবল বিরাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়াশোনায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মনে শঙ্কা বিরাজ করে। তৃতীয় বর্ষ পাশ করার পর এই চিন্তাটি মস্তিষ্কের সর্বত্র সিগন্যাল দেয় যে এইদেশে চাকরি নাই, এতো পড়াশোনার দরকার কি ইত্যাদি।
আবার কেউ কেউ উচ্চবর্গীয় রেজাল্ট করে নিজের সম্ভবনাটুকুকে সামনে প্রজ্জ্বলিত করে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্তিমিত হয়ে যায়।
আসলে এটা আমার কিংবা আপনার দোষ নয়। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি আর আমাদের কুজ্ঝটিকাময় ভবিষৎ চালকরাই আমাদের মসৃণ পথকে বন্ধুর করে তুলেছে। তাই এই সংকীর্ণময় পর্যায় থেকেও মরুভূমির সেই বৃক্ষগুলোর মতো জলসিঞ্চণ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে প্রিয় মাতৃভূমিকে। তাই লক্ষ্যটি ঠিক করা একজন শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কর্ম বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তেমনি বিদেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়ার বাসনাটিও তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া প্রয়োজন।
ফলাফল:
মাত্র বছর ছয়েক আগেও একটা প্রচলিত ধারণা ছিল যে, যারা আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ভাল ফলাফল করে, বিদেশী শিক্ষা কেবল তাদের জন্য। কিংবা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিএইচডি গ্রহণ কেবল তাদেরই মানায়।
এই বদ্ধমূল ধারাগুলোর পরিবর্তন এসেছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ের ফলাফল বিদেশী শিক্ষা গ্রহণের আর মানদন্ড নয়। নিজের ভিতর ডুবে থাকা সম্ভাবনাময় সেই শক্তিটি কেবল এই পথটি উন্মুক্ত করছে।
কাজেই সিজিপিএ কে কতদূর এগিয়ে তা এখন মূখ্য বিষয় নয়। যার প্রমাণ আমি নিজে। তাই যারা বাইরে শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী সিজিপিএ চিন্তাটি একদম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। একটা শ্বাস নিয়ে গর্জে উঠে বলুন আমি পারবো, কিংবা আমি পারি। তবে ইউরোপের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপিএ নির্ধারণ করে দেয়। তাই বলে কম সিজিপিএ ( ৩.০০ কিংবা তার চেয়েও কম) বিদেশী শিক্ষার অন্তরায় হবে তা ভাবার অবকাশ নেই। সুতারাং সিজিপিএ কত পেলাম সেটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
গবেষণা:
পিএইচডি যারা করতে চান, তাদের জন্য গবেষণাপত্রটি থাকা জরুরি। আর মাস্টার্স পর্যায়ের কোন থিসিসের প্রয়োজন নেই। সুতারাং বাংলাদেশে মাস্টার্স করে যারা বাইরে পিএইচডি করতে আগ্রহী তাদের জন্য এই থিসিস জিনিসটি থাকা আবশ্যিকই বটে। তবে যাদের থিসিস নেই তারা দেশে মাস্টার্স করার পরও বাইরে মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার থিসিসের কোন মূল্য নেই।
আমাদের দেশের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিভাগগুলোতে কেবল মাত্র আন্ডারগ্রাজুয়েটে ফলাফল ভালকারীদের এই থিসিস করার সুযোগ দেন। আমি সম্মানীয় শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, আপনাদের এই বদ্ধমূল ধারনা থেকে বের হয়ে আসুন। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনারা অধিকাংশ দেশের বাইরে পড়াশোনা করে গিয়েছেন। আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। বাইরে বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যায়ের তৃতীয় বর্ষ থেকে গবেষণায় যুক্ত হয়।
আর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে যদি গবেষণা করতে সুযোগই না পায় তাহলে সেই জ্ঞান অর্জন অতৃপ্ত থেকে যায়। যেহেতু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতকে গবেষণা করার সুযোগ নেই সুতরাং মাস্টার্স পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থীরা গবেষণা (থিসিস) করতে আগ্রহী তাদের প্রত্যেককে সেই সুযোগ দেয়া উচিত। কারণ আপনাদের ওই ভাল ফলাফল ধারীদের চেয়ে কম ফলাফলকারী অনেক শিক্ষার্থীয় গবেষণায় ভাল করতে পারে। কাজে প্লিজ অন্তত নিজেদের ওই অবস্থানটুকু পরিবর্তন করুন।
ইংলিশ স্কোর:
বিদেশী শিক্ষায় এই জিনিসটি সিজিপিএর চেয়ে বেশি মূল্যবান। টোফেল, আইইএলটিএস, টোয়েক একজন শিক্ষার্থীর বিদেশী শিক্ষা গ্রহণের মানদন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং যারা বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তারা সিজিপিএ নির্ভর না হয়ে ইংলিশ স্কোর বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিন। বর্তমানে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী স্কোর নির্ধারণ করে দেয়। সেই ক্ষেত্রে নিজেদের কাঙ্খিত দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী ইংলিশ প্রোফিয়েন্সি টেস্ট দেয়া প্রয়োজন।
আমি মনে প্রাণে শতভাগ বিশ্বাসী কেবলই এই স্কোর থাকলে যেকোন শিক্ষার্থী তার সিজিপিএ বেশি হোক আর ৩ এর নিচে হোক সে স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। টোফেলে ৬৫, আইইএলটিএস ৫.৫, টোয়েকে ৫৫০ কে মাধ্যম স্কোর ধরা হয়। তবে ভালস্কোর অবশ্যই ভাল কিছু দেয়। তাই আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে যারা এখনো আছেন, তারা সিজিপিএ কে মূখ্য না করে ইংরেজিতে দক্ষতটা বাড়িয়ে দিন। দেখবেন কাজে লাগছে।
যদিও আমি ইংরেজিতে দক্ষ নই কিংবা স্পেশালিস্ট নই, তবুও আমি আমার অগ্রজ/অনুজদের অনুরোধ করবো স্লো-মোশনের ইংরেজি মুভি দেখার জন্য। কিংবা https://www.ted.com এ গিয়ে লেকচারগুলো শুনতে পারেন। এই জিনিসটি ইংরেজি শিক্ষায় বেশ কাজে দেয়।
স্কলারশিপ/নন-স্কলারশিপ:
বাইরে এমএস/পিএইচডি করার জন্য এই দুইটি শব্দ গুরুত্বপূর্ন। স্কলারশিপ আসলে দুই ধরনের।
১. সরকারি স্কলারশিপ
২. ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রীক নন-স্কলারশিপ
দেশের বাইরে যারা শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা কেউ সেই দেশের সরকার/ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক স্কলারশিপের অর্থ পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। কমনওয়েলথ, ডাড, বিকে-২১, মনবসু সহ বেশ কিছু সরকারি স্কলারশিপ জনপ্রিয় হলেও সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের নিজস্ব ফান্ড কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া অর্থ অনেক সময় সরকারি স্কলারশিপের চেয়ে বেশি হয়। সুতরাং এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে সুযোগ পাওয়ার গুরুত্বটাকেই মূখ্য করা উচিত।
**লেটস হ্যাভ আ ব্রেক https://goo.gl/F9Szla  
অনেক আগে একটা বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতো, ‘তোর ঘরে গরু মার্কা ঢেউ টিন আমার ঘরেও গরু মার্কা ঢেউ টিন তাহলে ব্যাপারটা সমান সমান হয়ে গেল না’। প্রচলিত এই বাক্যটির সাথে আমাদের মানসিকতারও বেশ সম্পর্ক রয়েছে।
নিজ বিভাগ থেকে কেউ পাশ করে অনেকর অগ্রজরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছে, কিন্তু অনুজদের সেই সুযোগে সহায়তা করতে গিয়েও ওই গরু মার্কা ঢেউ টিনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। তারা অনেকেই নিজের নিজ বিভাগের কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই বোনদের স্কলারশিপের পরামর্শটুকু দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন।
কিন্তু কেন তারা এই ইগোতে ভোগেন তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়, তবে এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের যে হতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যেখানে আপনি ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের কাউকে আপনার বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর সুযোগ করে দিতে পারতেন সেখানে ওই ভাবাদর্শের কারনে অন্য দেশের কেউ এসে তা পূরণ করছে। এটা বাঙ্গালি হিসেবে আমাদের মজ্জাগত সমস্যা কি না জানি না তবে এই ধারণটির পরিবর্তন আশু প্রয়োজন।
প্রাথমিক আলোচনা শেষ। এখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করি 
পাসপোর্ট
আপনি যদি মনে প্রাণে ধরে নেন যে আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে আসবেন তাহলে অপেক্ষার পাল্লাটি কমিয়ে ফেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি পাসপোর্ট করে ফেলুন। কারন আপনি যখন কোথাও আবেদন করবেন অনেক সময় এই জিনিসটি অধ্যাপকরা হরহামেশা চেয়ে বসে। শুধু নাগিরকত্ব প্রমাণের জন্য নয়, আপনার স্মার্টনেসটাও এখানে এসে প্রকাশ পায়।
অধ্যাপক (সুপারভাইজার) অনুসন্ধান
বিদেশে একজন পূনাঙ্গ অধ্যাপকের ক্ষমতাই সবকিছু। তিনি যা করেন সেটি আইনে পরিনত হয়। তাই স্কলারশিপ পেতে হলে সুপারভাইজার বা অধ্যাপকের অনুসন্ধান ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। একজন সুপারভাইজার যখন পেয়ে যাবেন তখন মনে রাখবেন আপনার সুযোগ ৯৫ শতাংশ হয়ে গেছে। আর এই কঠিন জিনিসটি পাওয়ারও জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী তুলে ধরছি। যদিও বিষয়টি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ কার্যকরী।
অধ্যাপকদের ই-মেইল আইডি হলো অধ্যাপকদের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই এই ই-মেইল আইডিটি আপনি বিভিন্ন ভাবে পেয়ে যাবেন। আমার দেয়া দুইটি কৌশল অনুসন্ধান করলে আপনাদের অন্য কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। অধ্যাপকদের ই-মেইল আইডি সাধারনত জার্ণাল পেপারগুলোতে থাকে।
১. সেই অনুযায়ী ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন হচ্ছে তথ্যভন্ডার। এই ওয়েব সাইটে পাবমেডে গিয়ে পেয়ে যাবেন অধ্যাপকদের ঠিকানা ওই ই-মেইল আইডি।
২. প্রথমে এই http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/ লিংকে গিয়ে উপরের দিকে সার্চ অপশন পাবেন। সেখানে গিয়ে নিজের কাঙ্ক্ষিত  শব্দটি দিয়ে নিমিষে পেয়ে যাবেন কয়েকশ জার্ণাল। ধরুন আপনার সাবজেক্ট জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এই ক্ষেত্রে আপনি জেনেটিক্সের কোন টপিক দিয়ে দিলে অনেকগুলো জার্ণাল পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি ইচ্ছে করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত দেশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখেও সার্চ দিতে পারেন।
৩. এই বার একেকটি জার্ণাল পেপার খুলুন। মুল শিরোনামের পরে ‘অথর ইনফরমেশন’ নামে একটি অপশন আছে সেখানে গিয়ে দেখুন, যে করেসপন্ডে্ন্ট অথরের ই-মেইল আইডি দেয়া আছে।
৪. এই পেপারগুলোতে শুধুমাত্র আবস্টাক্ট থাকে। অনেক সময় ই-মেইল আইডি নাও থাকতে পারে তবে এই ক্ষেত্রে ডানদিকে ফুলটেক্সট অথবা ফ্রি টেক্সেট নামে পিডিএফ অপশন আছে। ও্ই মুল পেপারে অবশ্যই ই-মেইল আইডি পাওয়া যায়।
এই ভাবে এই মেইল আইডি সংগ্রহ করে প্রফেসরদেরকে ইমেইল করা শুরু করুন।
যেহেতু বিদেশী শিক্ষা ব্যবস্থা গবেষণা ভিত্তিক। সেহেতু প্রফসেরদের ল্যাবের ঠিকানা পেতে গেলে আর একটি সহজ অপশন বলে দিতে পারি। আপনি গুগুলে গিয়ে সার্চ অপশনে লিখে ফেলুন, ল্যাবরেটরির নাম।
ধরুন আপনি পদার্থ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। এই ক্ষেত্রে লিখতেই পারেন কোয়ান্টাম ল্যাবরেটরি। আমি যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছি তা হলো, আপনার বিভাগের সাবজেক্টর মূল কয়েকটি শব্দ লিখে সাথে ল্যাবরেটরি লিখুন। যেখবেন সরাসরি ল্যাবের ঠিকানা চলে আসতেছে। আর ল্যাবের ঠিকানা পেলে সেখানে গিয়ে দেখুন মেম্বার নামে একটি অপশন আছে, যেখানে প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগের জন্য ই-মেইল আইডি দেয়া আছে।
তৃতীয় অপশনটি জটিল, কিন্তু কাজে দেয়। এই ক্ষেত্রে অধ্যাপক ম্যানেজ করতে আর একটি অপশন রয়েছে। তবে এইটি অনেক সময়সাপেক্ষ। আপনি এই লিংকে গিয়ে পেয়ে যাবেন পৃথিবীর সব বিশ^বিদ্যালয়ের ঠিকানা। http://www.4icu.org/ আপনি লিংকে গিয়ে আপনার মহাদেশ অনুযায়ী আপনার কাংক্ষিত দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক পেয়ে যাবেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংকে গিয়ে সেখানে দেখুন, ফ্যাকাল্টি, ডিপার্টমেন্ট অপশন রয়েছে। ওই অপশনে গিয়ে ক্লিক করতে পেয়ে যাবেন বিস্তারিত তথ্য। অনেক সময় প্রফেসরদের ল্যাব ঠিকানা পাওয়া যায়। আর সেখানে গিয়ে খুঁজে নিন অধ্যাপকদের এই মেইল আইডি।
মটিভেশন লেটার ও বায়োডাটা
ই-মেইল আইডি পাওয়ার পর যে জিনিসটি সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো একটি মটিভেশন লেটার। একজন প্রফেসরকে ম্যানেজ করার জাদুমন্ত্রটি হলো একটি সুন্দর মটিভেশন লেটার। এই পত্রটির ভাষায় বলে দিবে আপনি কেমন, আপনার মেধা-মনন সব কিছু ফুটে উঠবে। কারণ মনে রাখবেন, আপনি প্রফেসরকে দেখনেনি এমনকি প্রফেসরও আপনাকে দেখেনি। সুতরাং আপনাদের দুইজনের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করার হাতিয়ার এটি। এই দুরুহ কাজটি করার অভিপ্রায় নিজে নিজে নিয়ে ফেলুন।
সেখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করবেন যে, আপনার বর্তমান পড়াশোনার অবস্থা, গবেষণার অবস্থা, ভবিষৎ ইচ্ছা, আপনি কেন সেই প্রফেসরকে পছন্দ করেন। এই জন্য আমার পরামর্শ থাকবে গুগলে গিয়ে ডেমো দেখে নিতে পারেন। আর বায়োডাটা অবশ্যই বিজ্ঞান সম্মত হতে হবে। চাকুরির বায়োডাটা আর স্কলারশিপে বিদেশে পড়াশোনার বায়োডাটা কখনো এক হতে পারে না।
এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত ছাড়াও আপনার কোন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশ গ্রহণ করা থাকলে সেই সেমিনারগুলোর টাইটেলও যোগ করতে পারেন। তবে অভিজ্ঞতার অপশনে অবশ্যই আপনি যেসব ব্যবহারিক পড়াশোনার অংশ বিশেষও তুলে ধরতে পারেন। মোট কথা বায়োডাটা অবশ্যই গবেষণা করার কিছু নমুনা তুলে ধরা যেতে পারে।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো যে, সব প্রফেসর আপনার ই-মেইলের উত্তর দেয় না। অনেকের কাছে আমি নিজে শুনেছি যে কয়েকশ মেইল দিলে হয়তো ৩/৪ টির উত্তর মেলে। সুতারাং হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আপনি ই-মেইল করতে থাকুন দেখবেন ঠিকই আপনার কাংক্ষিত স্বপ্নটি এসে হাতের মুঠোয় ধরা দিচ্ছে। প্রফেসররা অনেক সময় কিছু আসাইনমেন্ট করতে দেয়। অনেক সময় আপনার ই-মেইলে পজেটিভ উত্তর দেয়ার পর আপনাকে অপশন দিতে পারে,তুমি আমার এই আর্টিকেলের সারমর্ম করে পাঠাও এরপর আমি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।
এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মৌলিক ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এভাবে এগিয়ে যান, গড়ে তুলুন আপনার স্বপ্নের আশ্রয়স্থল। আমি আজ এখানেই শেষ করছি। জানি না আমার এই লেখা কারো কাজে আসবে কি না, তবে কারও বিন্দু পরিমাণ উপকারে আসলে খুশি হব।
লেখকঃ নাদিম মাহমুদ
মনবুশো স্কলার
জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।